মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা , এই মরিঙ্গা পাউডারে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে যা খেলে আমাদের শরীরে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং শরীরে সৌন্দর্য ও ত্বক এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে মরিঙ্গা পাউডারের কার্যকারিতা অপরিসীম।
মরিঙ্গা পাউডার বা সজিনা পাতার গুড়া কিভাবে খেলে আমাদের শরীরে উপকার হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিভাবে বৃদ্ধি করবে তার কিছু ধারণা দেবো এই আর্টিকেলে।এবং কিভাবে তৈরি করবেন সে সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
পেইজ সূচিপত্রঃমরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
- মরিঙ্গা পাউডার কি ও কিভাবে তৈরি করবেন
- মরিঙ্গা পাউডার এর ইতিহাস ও উৎপত্তি স্থান
- কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে মরিঙ্গা পাউডারএ
- মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও সময়
- মরিঙ্গা পাউডারে স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা
- মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহারে সৌন্দর্য বৃদ্ধির উপায়
- বৈজ্ঞানিক গবেষণা মরিঙ্গা পাউডার উপকারিতা প্রমাণিত
- কিভাবে মরিঙ্গা পাউডার সংরক্ষণ করা যায়
- মরিঙ্গা পাউডার এ কি কি সতর্কতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেনে চলতে হবে
- উপসংহার
মরিঙ্গা পাউডার কি ও কিভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক মরিঙ্গা পাউডার কি মরিঙ্গা পাউডার হলো সজিনা গাছের পাতার গুড়ো। এটা মূলত রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে তৈরি করা হয়। বৈজ্ঞানিক একটি নাম রয়েছে এই সজিনা গাছের নামটা হল মরিঙ্গাওলিফেরা নামে বিজ্ঞানীদের কাছে পরিচিত।এ গাছের পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ,ই,সি,খনিজ,ক্যালসিয়াম,প্রোটিন,পটাশিয়াম,আয়রন ও প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এবার আমরা জানবো কিভাবে মরিঙ্গা পাউডার তৈরি করতে হয়
প্রথমে আমরা সজিনা গাছ থেকে সবথেকে ভালো সবুজ সতেজ ও তরতাজা পাতা সংগ্রহ
করবো। তবে পাতা সংগ্রহ করার আগে আপনাকে দেখে নিতে হবে যে পাতাতে কোন পোকা বা
জীবাণু আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। এরপরে পাতাগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে
ধুয়ে নিতে হবে। পাতাগুলো ধোয়ার পরে রোদে শুকাতে হবে রোদে শুকানোর আগে অবশ্যই
মনে রাখতে হবে পাতাগুলো একটু ছায়াযুক্ত বা বাতাস লাগে এমন জায়গায় পাতাগুলো
শুকাতে হবে। যাতে করে রোদের তাপে পাতার ভিটামিন গুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায়
সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দুই থেকে তিন দিন পাতাগুলো সম্পূর্ণ পদে শুকানোর পরে
মচমচে হয়ে যাবে। মচমচে পাতাগুলো ব্লেন্ডার গ্রাউন্ডার বা হাতে মসলা বাটার কোন
যন্ত্র দিয়ে পাত্তাগুলো ভালো হবে পুরো করে নিবেন। তোরে কি তো মরিঙ্গা
পাউডার গুলো সংরক্ষণ করার জন্য অবশ্যই বাতাস মুক্ত কন্টেনার রেখে ভালোভাবে
মুখ ঢাকনা দিয়ে ঠান্ডা ও শুকনো স্থানে রাখতে হবে যাতে করে আপনি এটি অনেকদিন
ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
মরিঙ্গা পাউডার এর ইতিহাস ও উৎপত্তি স্থান
মরিঙ্গা গাছের মূল উৎপত্তিস্থান হলো দক্ষিণ এশিয়ার উত্তর-পশ্চিম ভারতে বিশেষ করে রাজস্থান পাঞ্জাব ও হরিয়ানা এ সমস্ত অঞ্চলে এই গাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণে সমস্ত অঞ্চলে আবহাওয়া শুষ্ক এবং উষ্ণ থাকে সবসময় তাই এই অঞ্চলে এই গাছগুলো বেশি রোপন করে থাকে। বর্তমানকালে মরিঙ্গা গাছ দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়। যেমন বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান আফ্রিকা আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যেরও ও ক্যারিবিয়ান কিছু দ্বীপেও এগুলোর চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের প্রাচীনতম উদ্ভিদ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মরিঙ্গা গাছ এই গাছটিকে অনেকে আবার মিরাকল ট্রি নামেও পরিচিত। প্রাচীনকালে কিছু পন্ডিত এই মরিঙ্গের গাছের পাতা ব্যবহার করে অনেক রোগের ঔষধ তৈরি করতেন। এই গাছের বিভিন্ন অংশ দিয়ে ওষুধ তৈরি করা হয় যেমন ফুল ফল পাতা ইত্যাদি দিয়ে। বিশেষ করে বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রধান উপকারী চিকিৎসার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মরিঙ্গা পাতার গুড়া। এটা ব্যবহার করে অনেকে উপকৃত হচ্ছেন।
কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে মরিঙ্গা পাউডারএ
মরিঙ্গা পাউডার এ প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতি ১০০ গ্রাম মরিঙ্গা পাউডার এ কোন কোন ভিটামিন
এবং কি পরিমাণে রয়েছে তা জেনে নেই।
- ভিটামিন A রয়েছে ১৮,৬৭০ UI যার চোখে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
- ভিটামিন C রয়েছে ১৭০ মিলিগ্রাম যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে
- ভিটামিন E রয়েছে ৮০ মিলিগ্রাম যা আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে থাকে
- ভিটামিন K রয়েছে 0. ৪১ মিলিগ্রাম যা আমাদের শরীরে রক্ত জমাট বাধা ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য এ রোগের ক্ষেত্রে মরিঙ্গা পাউডারের ব্যবহারের কার্যকারিতা অপরিসীম।
- ভিটামিন B1,B2, ও B3 পরিমাণও রয়েছে অনেক বেশি এছাড়াও খনিজ এর মধ্যে ক্যালসিয়াম আয়রন,পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে এগুলো থেকে দাঁতের জন্য রক্তশূন্যতার জন্য উচ্চ রক্তচাপ ও পেশি নার্ভের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী ক্ষমতা রাখে।
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও সময়
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক থেকে দুই চা চামচ মরিঙ্গা পাউডার হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে আপনি চাইলে দুধ বা জুসের সাথেও মিশিয়ে খেতে পারবেন। আবার চাইলে দুপুরে খাবারের সাথে বা সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারবেন। যা আপনার খাবারের পাশাপাশি পুষ্টিগুণ ও ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম আপনি প্রত্যেকদিন একই সময়ে সেবন করলে আপনার শরীরের জন্য যেমন
উপকার হবে এবং খুব দ্রুত কাজ করবে। তবে এটি অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো যে
কোন ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন। বিশেষ করে
গর্ভবতী এবং স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য সতর্ক থাকতে হবে এবং সেবনের পূর্বে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। মরিঙ্গা পাউডার খাবারের উপযুক্ত সময় হল সকালে তাই
আমি বলব আপনারা যারা এই মরিঙ্গা পাউডার খাবেন অবশ্যই সকালে খাওয়ার প্র্যাকটিস
করবেন। রাতে না খাওয়াই ভালো কারণ রাতে বেশি পরিমাণ প্রোটিন ফাইবার হজমে
সমস্যা হতে পারে যার ফলে ডায়রিয়া হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
মরিঙ্গা পাউডারে স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা
মরিঙ্গা পাউডারের উপকারিতাঃমরিঙ্গা পাউডার নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরে অনেক উপকার
হয়। এটি মূলত একটি সুপার ফুড বা ভেষজ ওষুধ বলে মনে করি। এটি খেলে শরীরের
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে রক্তের সর্করা কোলেস্টেরল
নিয়ন্ত্রণ রাখে শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে ও শরীরের ক্লান্তি দূর করে।
তক ও চুলের ক্ষেত্রে পানিতে মিশিয়ে হালকা নরম করে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করলেও
ত্বক নরম ও উজ্জ্বল দেখা যায়। এবং চুলের ক্ষেত্রে চুলে সুন্দর করে মিশিয়ে
কিছুক্ষণ রাখলে চুল ঘন এবং শক্তিশালী হয়।
মরিঙ্গা পাউডার এর অপকারিতা
আমরা জানি যে কোন জিনিসের ভালো দিক থাকলে কিছু না কিছু খারাপ দিকে থাকে তেমনি
মরিঙ্গা পাউডার এর কিছু অপকারিতা দিক তুলে ধরা হলো। যেমন মরিঙ্গা
পাউডার অতিরিক্ত সেবন করা যাবে না। বা ভুলে বেশি খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে এজন্য
প্রতিদিন এক থেকে দুই চা চামচ খাওয়াই ভালো এর বেশি খেলে পেটের ডায়রিয়া পেট
ব্যাথা বা গ্যাসের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে যার ফলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে মরিঙ্গা পাউডার না খাওয়াই ভালো এতে করে গর্ভের ঝুঁকি
থাকতে পারে আবার যারা ডায়াবেটিস বাড়ার ইচ্ছা করে ওষুধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে
আমি বলব যে আপনারা মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে
তারপর সেবন করবেন।
মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহারে সৌন্দর্য বৃদ্ধির উপায়
মরিঙ্গা পাউডার শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয় ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে এতে থাকা বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে মশ্চারাইজেশন এবং চুল পড়া ও চুলের গোড়া শক্ত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এবারে চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের জন্য মরিঙ্গা পাউডার কিভাবে ব্যবহার করা যায়। প্রথমে আপনাকে একটা চামচ মরিঙ্গা পাউডার ও এক চা চামচ দই বা যেকোনো গ্লিসারিন নিন সবগুলো উপকরণ সুন্দর করে মিশিয়ে পেস্ট বা শ্যাম্পুর মত তৈরি করুন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। পরিষ্কার হয়ে গেলে আলতো করে মুখে লাগিয়ে নিন ১০ থেকে ২০ মিনিট পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং নরম ও হালকা লাগছে।
চুল ঘন ও মজবুত করতে মরিঙ্গা পাউডার কিভাবে তৈরি করতে হয়।
প্রথমে ১ থেকে ২ চা চামচ মরিঙ্গা পাউডার নিন তারপরে তেলের সাথে মিশিয়ে সুন্দর
করে চুলে লাগান আধা ঘন্টা থেকে 40 মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন দেখবেন আপনার চুল ঘন সিল্কি দেখা যাবে।
ব্রণ ও ত্বকের সমস্যা কমাতে মরিঙ্গা পাউডার এর কার্যকারিতা
ব্রণ ও ত্বকের সমস্যা কমাতে প্রত্যেকদিন মরিঙ্গা পাউডার মাস্ক হিসাবে ব্যবহার
করলে ত্বকের ফ্লেয়ার আপ কমে এবং ত্বক পরিষ্কার দেখায় । অতিরিক্ত রোদের সঙ্গে
ব্যবহার করবেন না বা ব্যবহারের পর রোদের সংস্পর্শে যাবেন না। এছাড়াও চোখও ঠোটের
চারপাশে ত্বক সতেজ রাখার জন্য মরিঙ্গা পাউডার ক্রিমের সঙ্গে মিশে ব্যবহার করতে
পারেন। এতে করে আপনার চোখ ও ঠোটে চারপাশ উজ্জ্বল দেখা যাবে।নিয়মিত বেশি করে পানি
পান করুন এবং স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিক র খাদ্য অভ্যাস তৈরি করুন তাহলে আপনার ত্বক
চকচকে ও উজ্জ্বল দেখা যাবে।
আরো পড়ুনঃ
বৈজ্ঞানিক গবেষণা মরিঙ্গা পাউডার উপকারিতা প্রমাণিত
বৈজ্ঞানিক গবেষণা মরিঙ্গা পাউডার এর বিভিন্ন ধরনের উপকারিতার লক্ষণ প্রমাণ পাওয়া গেছে। মরিঙ্গা পাউডার শুধু প্রাকৃতিক ও ভেষজ সুপার ফুড হিসেবেই নয় বৈজ্ঞানিক গবেষণা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত একটি ঔষধ। যা বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিকস রোগের জন্য অন্যতমএকটি ওষুধ। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছে যে এ ওষুধ সেবন করলে শরীরের ডায়াবেটিকস, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কমায়। এবং এন্টি অক্সিডেন্ট কার্যক্রম ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে লিভার ও হজম কার্যক্ষমতা বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়।চলুন আমরা জেনে নেই এই ঔষধ কোন কোন রোগের কাজ করে
কিভাবে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ডায়াবেটিকস রোগীদের এই মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ালে
রক্তের শর্করা হ্রাস পায়। যার ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফেনোলিক যৌগিক
ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। একটি বিজ্ঞানীভাবে পরীক্ষিত বা
প্রমাণিত যে মরিঙ্গা আমাদের শরীরে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
কিভাবে মরিঙ্গা পাউডার শরীরে কোলেস্টেরল কমায়
মরিঙ্গা পাউডার আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে। এবং ভালো
কোলেস্টরেল তৈরি করতে সাহায্য করে।গবেষণা অনুযায়ী দের থেকে আড়াই মাস নিয়মিত
ব্যাপারে হৃদরোগের ঝুঁকি ও কমতে পারে।এজন্যই আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে
মরিঙ্গা পাউডারের গুরুত্ব অপরিসীম।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে কিভাবে
মরিঙ্গা পাউডার বা সজিনা পাতার গুরা রয়েছে ভিটামিন সি ও ই এ ছাড়াও রয়েছে
কোসেকটিন, ও ক্লোরোজেনিক এসিড। কিছু সংখ্যক বিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখেছে যে এগুলো
আমাদের শরীরে ফ্রি রেডিকেলস কমিয়ে প্রদাহ জনিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য
করে।
লিভার ও হজমে কার্যক্ষমতা বাড়ানোর উপায়
মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহারে শরীরে স্বাস্থ্য বজায় রাখে একটি গবেষণার দেখা গেছে
যে লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে মরিঙ্গা পাউডার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা এটি
শরীর থেকে টক্সিন নামক পদার্থ বের হয়ে যায় যার ফলে আমরা যে খাবারে খাই না
কেন আমাদের লিভার ও হজম কোন সমস্যা হয় না। মরিঙ্গা পাউডার সেবন করলে খুব
তাড়াতাড়ি হজমে সহায়তা করে। এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে।
কিভাবে মরিঙ্গা পাউডার সংরক্ষণ করা যায়
খুবই সেনসেটিভ একটু বিষয় হলো মরিঙ্গা পাউডার গুনাগুন যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য ভালো হবে এটাকে সংরক্ষণ করতে হবে। আর এটা সংরক্ষণ করার জন্য সর্ব প্রথমে একটি কন্টেইনার লাগবে যে কনটেনারে বায়ু প্রবেশ করতে পারবে না। এতে করে বায়ু প্রবেশ না করলে পাউডার গুলো দলা বা জমাট বাঁধবে না এবং অনেকদিন সংরক্ষণ করতে পারবেন। যে পাত্রে রাখবেন অবশ্যই শুকনো ও ঠান্ডা জায়গা রাখুন। আপনি চাইলে কাজ বা স্ট্রিলের পাত্রে রেখে রান্নাঘরের আলমারি বা ফ্রিজেও
রাখতে পারবেন। এতে করে আপনার পাউডার অনেকদিন ভালো থাকবে। বাজার থেকে কেনা ক্ষেত্রে অবশ্যই মোরকে মেয়াদ লেখা দেখে ক্রয় করবেন যদি সময় সময় পার হয়ে যায় তাহলে ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন। যদি আপনি নিজে নিজে তৈরি করুন তাহলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে 8 থেকে 12 মাস এর মধ্যে সেবন করার চেষ্টা করুন এর বেশি হলে সেবন না করাই ভালো। কেননা অনেকদিন কন্টেইনার বা বা কেটে রাখার ফলে ছত্রাক আক্রমণ করতে পারে। এতে করে আপনার শরীরে বড় ধরনের অসুখ দেখা দিতে পারে। তাই আমি বলব আপনারা ব্যবহারের আগে মেয়াদ দেখে নিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url