ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়
বর্তমান যুগে ঘরে বসে আয় করার অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং,ব্লগিং, ইউটিউব, ফেসবুক, এফিলিয়েট মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন ও ডিজিটাল মার্কেটিং। চাইলে ঘরে বসে আপনার এগুলো করতে পারেন আর এগুলো করার জন্য যেটা দরকার সেটা হচ্ছে ইচ্ছাশক্তি ধৈর্য এবং মানসিকতা।
আর সেইসাথে কিছু ডিভাইস দরকার সেগুলো হচ্ছে মোবাইল ফোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার হলেও চলবে যেটা দিয়ে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। আর দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেই
সূচিপত্র
- কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখে আয় করা যায়
- ব্লগিং থেকে আয় করার উপায়
- ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করা যায়
- ফেসবুকের মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়
- কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়
- গ্রাফিক ডিজাইন করেও আয় করা যায়
- ডিজিটাল মার্কেটিং করেও ঘরে বসে করা যায়
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখে আয় করা যায়
আপনার এক বা একাধিক কাজের স্কিল থাকলে, সেটাকে অনলাইনের মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে আয়
করা যায়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি মূলত দুইভাবে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন এর মধ্যে
একটি হচ্ছে upwork, আপওয়ার্ক হল একটি অনলাইন বা ফ্রিল্যান্সিং
প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে ক্লাইন্ট তাদের খুঁজে বের করে এবং তাদের সাথে ভালো
সম্পর্ক স্থাপন করা। একজন ফ্রিল্যান্সার তার দক্ষতা দেখিয়ে ক্লায়েন্ট এর
কাছ থেকে কাজ পেতে পারে এবং সেই কাজ অনুযায়ী তার পারিশ্রমিক পেতে
পারে। upwork এর মাধ্যমে যে কেউ দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে এ কাজটি সম্পন্ন
করতে পারে। অপরকে মাধ্যমে যে সকল কাজগুলো করা হয় তার একটি তালিকা দেয়া হল
- ডাটা এন্ট্রি
- ওয়েব ডিজাইন
- গ্রাফিক ডিজাইন
- কনটেন্ট লেখা
- মার্কেটিং,
এই সকল কাজ করেও অনলাইন এর মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব।
ব্লগিং থেকে আই করার উপায়
ব্লগিং থেকে আয় করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনার যেটা দরকার সেটা হচ্ছে একটা
ওয়েবসাইট এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারেন। সে
জন্য আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে google তার এড পরিদর্শন করার মাধ্যমে
গুগল আপনাকে পেমেন্ট দিবে। এছাড়াও আরো কিছু মাধ্যম রয়েছে আপনার যদি নির্দিষ্ট
কোন পণ্য থাকে সেটাকেও অনলাইনে মাধ্যমে বিক্রি বিজ্ঞাপন দিয়েও আপনি ইনকাম করতে
পারেন। এছাড়া অন্যের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সেখান থেকেও আপনি একটা কমিশন
পাবেন এবং সেখান থেকেও আপনার আয় হবে। আর সেজন্য আপনাকে ক্রেতার সাথে
সুসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। যার মাধ্যমে ক্রেতারা আপনার পণ্য ক্রয় করে।
ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করা যায়
ইউটিউব থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম করা যায় যেমন পণ্য বিক্রি করে। পণ্যটা
হচ্ছে আপনার যদি কোন বিক্রি জাতীয় পণ্য থাকে তাহলে সেটাকে বিজ্ঞাপনের
মাধ্যমে আপনার ইউটিউবে প্রচার করে ইনকাম করতে পারেন। আবার অন্যের পণ্য বিজ্ঞাপন
দেখিয়ে সেখান থেকেও আপনার ইনকাম করতে পারেন। এছাড়া আপনি যে ভিডিওগুলো পাবলিশ
করবেন সেই ভিডিওর পাবলিক ওয়াচ টাইম ভিউ এবং শর্ট ভিডিও থেকেও ইনকাম করতে পারেন।
তবে youtube থেকে ইনকাম করতে হলে ইউটিউব এর কিছু শর্ত থাকে সেগুলো পূরণ
করতে পারলে ইউটিউব আপনাকে খুব দ্রুতই ইনকাম দেবে। আপনার চ্যানেল থেকে আয় করতে
চাইলে অবশ্যই আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশন থাকতে হবে।
ফেসবুকের মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়
ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। চারজন বিজ্ঞানী এটার উপর রিসার্চ করে এই
অ্যাপসটি তৈরি করেন। যারা এই ফেসবুক অ্যাপসটি তৈরি করেন তারা হলেন
মার্ক জুকারবার্গ, এডুয়াডো সাফারিন, ডাস্টিন মস্কোভিটজ, এবং ক্রিস
ইউজ ২০০৪ সালে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি এই অ্যাপটি প্রতিষ্ঠিত করেন। বর্তমানে এটি
মেয়েটা প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা ইনকাম করতে পারি
সেজন্য ফেসবুক আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছে সেগুলো পূরণ করতে পারলে ফেসবুক থেকে
ইনকাম করা সম্ভব। যেমন ফেসবুক স্টার, মনিটাইজেশন, এগুলো পেলেই ফেসবুক থেকে
ইনকাম করা সম্ভব। এর পাশাপাশি ফেসবুকের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব।
এবং অন্য প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের লিংক করেও ফেসবুক থেকে ইনকাম করা সম্ভব।
বর্তমান সময়ে অনেক তরুণ তরুণরা এর ফেসবুক ব্যবহার করে অনেক টাকা ইনকাম করছে। এতে
করে যুবসমাজ কিছুটা হলেও স্বাবলম্বী হচ্ছে।
কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার যে জিনিসটা দরকার হবে সেটা
হচ্ছে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। যার মাধ্যমে আপনি কোন কিছু প্রচার করতে পারবেন,
যেমন ফেসবুক ইউটিউব আরো অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি ইনকাম
করতে পারবেন। আপনার প্ল্যাটফর্মটি আকর্ষণীয় করার জন্য মূল্যবান কিছু তৈরি করুন
যা দেখে ক্রেতা বা দর্শকরা আকর্ষণ করে। আপনি আপনার সেবার মান উন্নত করার জন্য
বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ ,টিউটোরিয়াল, কন্টেন্ট তৈরি করুন যা দর্শকদের মনোযোগ
আকর্ষণ করবে। এবং অন্য কোম্পানির প্রচারের লিংক আপনার প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেও
সেখান থেকে কিছু ডোনেশন পেতে পারেন এর মাধ্যমে আপনার ইনকাম হবে।
গ্রাফিক ডিজাইন করেও আয় করা যায়
বর্তমান বিশ্বে অনলাইন প্লাটফর্মে গ্রাফিক ডিজাইন অন্যতম এক প্ল্যাটফর্ম যার
মাধ্যমে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষ এই গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে
অনেক টাকা আয় করে থাকে। বর্তমানে এর মার্কেট ভ্যালু অনেক ভালো। বর্তমান সময়ে
গ্রাফিক ডিজাইন করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে। এখনকার সময় অনুযায়ী গ্রাফিক
ডিজাইন একটি জনপ্রিয় মাধ্যম যার মাধ্যমে অনেকে চাকরির পাশাপাশি গ্রাফিক ডিজাইনের
কাজ করে থাকেন। গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ কি এবং কোন কোন প্লাটফর্মে এটা কাজ
পাওয়া যায় চলুন আমরা জেনে নেই। প্রথমে আমরা জেনে নেব গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ কি
গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ হচ্ছে লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন,সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স
ডিজাইন, এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যানার বা বিজ্ঞাপন ডিজাইন ইত্যাদি। যে সকল
প্লাটফর্মে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ পাওয়া যায় আপওয়ার্ক, ফাইবার ও ফ্রিল্যান্সিং
এ সমস্ত প্লাটফর্মে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে দেশের
রেমিটেন্সের একাংশ আসে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ফ্রিল্যান্সিং থেকে।
ডিজিটাল মারকেটিং করেও ঘরে বসে আয় করা যায়
ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইন প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে কোন কিছু বিক্রি করা বা
ব্যবসার সেবা প্রদান করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল
মার্কেটিং খুবই উন্নত একটি প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে যে কোন ব্যবসায়ী তার
ব্যবসার প্রসারের জন্য পন্যের বিজ্ঞাপন সারা বিশ্বে পৌঁছাতে পারে। বর্তমান
বিশ্বে ডিজিটাল মারকেটারদের অনেক চাহিদা এবং দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি
পাচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু কৌশল ও প্রকারভেদ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে
আপনি খুব সহজে ইনকাম করতে পারেন চলুন আমরা জেনে নেই কিভাবে সেগুলো ব্যবহার করতে
হয়।
সর্ব প্রথমে আমরা যেটা সম্পর্কে জানব সেটা হচ্ছে SEO-সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন এই এসইও এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে উচ্চ পর্যায়ের
রেঙ্কে আনতে হবে যাতে করে ভিজিটরা কোন কিছু লিখে সার্চ দিলে সর্ব প্রথমে আপনার
ওয়েবসাইট খুঁজে পায় এতে করে আপনার ভিজিটররা বেশি আসবে এবং এ থেকেও আপনি
ইনকাম করতে পারবেন। এরপরে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে SEM-সার্চ ইঞ্জিন
মার্কেটিং এস ই এম হল পেট সার্চ মারকেটিং এর মাধ্যমে গুগল এডস এর মাধ্যমে
আপনি আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন সবার উপরের ব্যাংকে দেখাতে পারবেন। এছাড়াও
আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন অংশে গুগল এডস দেখায় সেখান থেকেও ইনকাম করতে
পারবেন। এরপরে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রাফদের সাথে সম্পর্ক তৈরি
করা এবং আপনার পণ্যের ব্যবহার পরিচিতি বা ব্যান্ড পরিচিতি তৈরি। এরপরে রয়েছে
কনটেন্ট মার্কেটিং আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে কন্টেনট লিখে আয় করতে পারেন।
কনটেন্ট মার্কেটিং মূলত কোন বিষয়ের উপরে একটা টপিক লিখে সেটাকে আপনি আপনার
ওয়েবসাইটে পাবলিশ করাকে কনটেন্ট মার্কেটিং বলা হয়। চাইলে আপনি অন্য ওয়েবসাইটের
কন্টেন্ট বিক্রি করতে পারেন সেখান থেকে আপনার আয় হবে এভাবে আপনি কনটেন্ট লিখেও
আয় করতে পারবেন।
উপসংহার
ঘরে বসে কিভাবে সহজে আয় করা যায় সে বিষয়ে আমরা উপরে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা
করেছি আপনি যদি ঘরে বসে আয় করতে চান তাহলে উপরে যে কোন একটা বিষয় নিয়ে আপনি
কাজ করতে পারেন। আর এজন্য যেটা দরকার সেটা হচ্ছে দক্ষতা আপনি মনে মনে ভাবতে পারেন
যে আমি কি পারব ডিজিটাল মার্কেটিং করতে বা ঘরে বসে ইনকাম করতে হা আপনার দ্বারাই
সম্ভব কেননা কোন কিছুই মানুষের অসম্ভব না। বর্তমান যুগে অনলাইন বিভিন্ন
জায়গায় ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখানো হয় সেখান থেকে আপনি ট্রেনিং করে ঘরে বসে আয়
করতে পারেন। আমি বর্তমানে একজন ডিজিটাল মার্কেটের হিসাবে কাজ করছি আমিও করতে
পারেন কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান অনলাইন যুগে সেরা একটি প্ল্যাটফর্ম আপনিও
চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে কাজ করতে পারেন আর এর মাধ্যমে ঘরে বসে করতে
পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url